আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলে করা রিটের শুনানি বৃহস্পতিবার

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতাকে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের বেঞ্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।

পরে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, রিটের বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে, সেগুলোর নাম পরিবর্তন চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউর প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।ছাত্র-জনতাকে নির্বিচার হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে গতকাল সোমবার রিটটি করা হয়। মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন।

আরও পড়ুন