কুল চাষে সফল হাতিয়ার আলাউদ্দিন, কুল চাষে ঝুঁকছেন এখন অনেকে

হাতিয়া (নোয়াখালী)।প্রবাস জীবনে সুবিধা করতে না পেরে দেশে এসে কৃষিতে মনোনিবেশ এবং পরে কুল চাষ শুরু করেন সফল হন। বিদেশ ফেরত আলাউদ্দিনের সফলতা দেখে অন্যরা মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকছেন এ ফল চাষে।নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামের যুবক আলাউদ্দিন। বেকারত্ব ঘোচাতে যান মধ্যপ্রাচ্যের দেশে। সেখানে সুবিধা করতে না পেরে ২০১৬ সালে দেশে এসে প্রথমে নিজের জমিতে সবজি চাষ শুরু করেন। পরে কুল চাষে সফলতা দেখতে পেয়ে বাড়ির পাশে আরো কতোটুকু জমি বর্গা নিয়ে এর পরিধি বিস্তার করেন। সবমিলিয়ে তার প্রায় ৩ একর জমিতে এবার কুল চাষ হয়েছে। বেকারত্ব গুঁছিয়ে এখন তিনি স্বাবলম্বী। শুরুতে ৩ লাখ টাকা পুঁজি খাটিয়ে বছরে এখন ২ লাখ টাকার মতো আয় করেন শুধু কুল বাগান থেকে। কুল চাষী আলাউদ্দিন বাগানে কয়েক প্রজাতির কুল রয়েছে। ফল ধরেছে সব গাছে। গাছে গাছে দুলছে থোকায় থোকায় কুল।

চাষী আলাউদ্দিন জানান, বিদেশ থেকে এসে ফলফলাদি চাষ করে আমার বেকারত্ব দূর হয়েছে, আর্থিক উন্নতিও হয়েছে। তার পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখন অনেকে এ পেশায় জড়িত হয়েছেন বলেও জানান এ যুবক।
তার কুল চাষের সফলতা দেখে পার্শ্ববর্তী আফসার উদ্দিনও ১ একরের অধিক জমিতে ৬০০ কুলের চারা লাগিয়েছেন। গতবছর জানুয়ারীতে কুলের চারা রোপন করে একই বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকার কুল বিক্রি করতে পেরেছেন তিনি। কুল চাষী আফসার উদ্দিন জানান, তার ফলবাগান কীটনাশক মুক্ত, খেতেও খুব সুস্বাদু। তাই যেকেউ তার বাগানে এসে ফল কিনে নিয়ে যায় এবং বাজারে নিলেও ক্রেতারা কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে নিয়ে যায়।

এদিকে বেকারত্ব দূরীকরণে কৃষিতে মনোযোগী আলাউদ্দিন ও আফসার উদ্দিন’কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক_ সুজন এর হাতিয়া উপজেলা শাখার সম্পাদক ছায়েদ আহমেদ। তিনি বলেন কৃষিসম্প্রসারণ বিভাগ যদি মাঠ পর্যায় নীরিক্ষা করে এবং প্রকৃত কৃষকদের মাঝে কৃষি সহায়তা প্রদান করে তবে প্রান্তিক কৃষক’রা কৃষিতে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এবং দেশের কৃষি অর্থনীতিও মজবুত হবে।

এছাড়াও হাতিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র পাল জানান কৃষি অফিস তরুন যুবকদের বানিজ্যিক কৃষিতে সবসময় উৎসাহ দিয়ে থাকে।

আরও পড়ুন