বাংলাদেশে এসেছে মিয়ানামারের সেনাসহ ১৫৬ জন

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জেরে দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন আরও ১৫৬ জন। তাঁদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাসদস্য, সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)এর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন। অন্যদিকে উখিয়ার বালুখালী সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে ২৪ মিয়ানমার নাগরিক।উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে রহমতের বিল ও আনজুমান পাড়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন বাহিনীর ১৫৬ জন সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এরমধ্যে ১১১ জনকে রহমতের বিল প্রাইমারী স্কুলে এবং আনজুমান পাড়া প্রাইমারী স্কুলে ৪৫ জনকে বিজিবি’র হেফাজতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন সদস্য, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজন রয়েছে।
এ নিয়ে গত রোববার থেকে দেশটির মোট ২৬৯ জন পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। যাঁদের বেশির ভাগ বিজিপির সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে পুরো সীমান্ত এলাকা। সোমবার সারারাত ধরে মুহুর্মুহু গুলি আর মর্টারশেলের বিকট শব্দে সীমান্ত এলাকার আতঙ্কিত লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে ছুটছে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে। মঙ্গলবার সকালে ঘুমধুমের বেতবুনিয়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বসতঘরে আঁছড়ে পড়েছে আরও একটি মর্টারশেল। এতে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বাড়ির দুটো জানালার কাঁচ ভেঙ্গে পড়ে।
এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে চরম আতংক ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন