প্রচারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নীরবতায় সুপ্রিম পার্টি

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে প্রতীক বরাদ্দের পর নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ও তবলা প্রতীকের প্রার্থীর ও তাদের অনুসারীদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি । এ আসনে সাঁটানো ব্যানারে-পোষ্টার প্রায় সবই নৌকা, ঈগল ও ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীদের।

এদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) প্রার্থী ছাড়াও এ আসনে আরও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান।

অন্যদিকে গত বুধবার এ আসনের প্রার্থীতা ফিরে ফেয়েছেন আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এরআগে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন বিষয়ে জটিলতায় তার মনোনয়ন বাতিল করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোট। গতকাল শুক্রবার সকালে তাকে রকেট প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এনিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন। এখনো প্রচার শুরু করেননি, তবে দ্রুত প্রচারে নামবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রামগতি ও কমলনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত লক্ষ্মীপুর-৪ সংসদীয় আসন। এ আসনে প্রতীক পাওয়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের মোশারফ হোসেন (নৌকা), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ ছোলায়মান (একতারা), স¦তন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন (ঈগল), ইস্কান্দার মির্জা শামীম (ট্রাক), মাহমুদা বেগম (তবলা)।

বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ ছোলায়মান বলেন, প্রচারের কাজ আমরা শুরু করেছি। ব্যানার-পোষ্টার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদা বেগম বলেন, আমার প্রচার-প্রচারনা চলছে। দ্রুততার মধ্যে উপকূলের নির্বাচনী বিভিন্ন এলাকায় গণ-সংযোগ করা হবে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ ভোটার রয়েছেন। রামগতির ৯টি ইউনিয়ন, রামগতি পৌরসভা ও কমলনগরের ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে এই আসনটি গঠিত। আসনটিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি, এরমধ্যে রামগতিতে ৬৭ টি ও কমলনগরে ৫৪ টি।

আরও পড়ুন