প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরে অনুমতি ছাড়া আয়োজন করা চরলক্ষি আল কাদরী ও সৃজলী (রহঃ) দরবার শরীফের উদ্যোগে আয়োজন করা তিন দিন ব্যাপী মেলা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন ইউপি চেয়ারম্যান ও হাজিমারা ফাঁড়ি পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে মেলার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।জানা গেছে, ৮/১০ জনের স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল কোনও অনুমতি ছাড়াই তিনদিন ব্যাপী চরলক্ষি আল কাদরী ও সৃজলী (রহঃ) দরবার শরীফের উদ্যোগে দুদিন ব্যাপী মাহফিলের’ নামে এ মেলার আয়োজন করে। এ নিয়ে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকা করেন এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন মেলার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এদিকে মেলা শুরু পর এর কার্যক্রম বন্ধ চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর মৌখিক অভিযোগ দেন ৫/৬ জনের স্থানীয় গ্রামবাসী।
মনির মোল্লা ও মোঃ শরিফ হোসেনসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, রায়পুরে দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরলক্ষি গ্রামের খলিফার হাটে গত ৮০ বছর ধরে আল কাদরী ও সৃজলী (রহঃ) দরবার শরীফের উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী ইসালে সওয়াবের মাহফিল হয়ে আসছে। এসময়ে কয়েকটি বড়-বড় খাবারদোকান বসে।
কিন্তু এই প্রথম এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ফারুক কাড়ী, মফিজ কাড়ি, জয়নাল উদ্দিন মোল্লাসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মোল্লা এই মেলাটি চালুর জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু অনুমতি না থাকায় স্থানীয় প্রশাসন তা বন্ধের নির্দেশ দেন। এ মেলার সুযোগে জুয়ার ব্যবসাও শুরু হয়।
তারা আরও বলেন, ‘এ মেলার কারণে স্থানীয় কয়েকশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রায় ৮’শ ব্যবসায়ী ব্যাবসা শুরু করে দিয়েছেন। এ মেলায় কাপড় ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যসহ বিভিন্ন রকমের দোকানপাট বসানো হয়েছে।।’এসব ব্যাবসায়ীর কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা করে উত্তোলন করা হয়েছে। এই মেলাটি চন্দ্রগঞ্জ এলাকা থেকে ভেঙ্গে এখানে আসছে।
মাহফিলের আয়োজক মাওলানা খায়রুল বাশার (গদিনিশি) ও কারি আবদুল বাতেন বলেন, ৮০ বছর ধরে এখনে দুইদিন ব্যাপী (মঙ্গলবার ও বুধবার) মাহফিল হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার আখেরী মোনাজাত হবে। এ উপলক্ষে আমরা শুধুই কয়েকটি খাবার হোটেল বসার জন্য অনুমতি দিয়েছি। জুয়া খেলা বা অন্য প্রসাধনিসহ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বসার অনুমতি দেইনি। আমাদের নামে অপপ্রচার করছে একটি মহল।।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মোল্লা বলেন, ইউএনও এবং ওসি সাহেবের নির্দেশে তিনদিনব্যাপী মেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর কিছু বলতে পারবোনা।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা বিনতে আমিন বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া মেলা চালু করায় জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
