প্রতিনিধি : প্রায় এক মাস আগে স্বামী আজহার মিয়া মারা যান। এখনো স্বামী হারানোর শোক কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। এর মধ্যেই ছোট ছেলে সাগরে ডাকাতদের কবলে পড়েছে। দীর্ঘ ৩১ পর মুক্তি পেয়েছে নাবিক আইয়ুব। ১৪ এপ্রিল ভোরে মোবাইলে ফোন করে তার মুক্তি বিষয়টি মাতা মা হোমায়রা বেগম জানান আইয়ুব। এসময় ভালে আছে সুস্থ আছে বলে খুব শিঘ্রই মায়ের সাথে দেখা করতে আসার কথাও জানান আইয়ুব।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সোনাপুর ইউপির রাখালিয়া গ্রামের বিনন বেপারি বাড়িতে গিয়ে এই তথ্য জানা যায়।
ইঞ্জিনিয়ার ক্যাডেট আইয়ুব খান রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রাখালিয়া গ্রামের বিনন বেপারী বাড়ির মৃত আজহার মিয়ার ছোট ছেলে। তিনি রাখালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও রামগঞ্জের ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া একাডেমি থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি থেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন তিনি। প্রায় ১ বছর ধরে ইন্টার্নি করছেন আইয়ুব।
মা হোমায়রা বেগম হোমায়রা বেগম বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজের মালিপক্ষ প্রথমে ফোন করে মুক্তি বিষয়টি জানান। পরে সকাল ৬টার দিকে আইয়ুব তার মোবাইল থেকে ফোন করে মায়ের সাথে কথা বলেন। এসময় আইয়ুব মাকে জানান, জলদস্যুরা মুক্তিপণ পাওয়ার পর ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে তাদের জাহাজ থেকে মেনে চলে যায়। যাওয়ার সময় আইয়ুবসহ অন্যান্য মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে যায়।
আইয়ুব এর বড় ভাইয়ের স্ত্রী নাসরিন খান জানান,আইয়ুব আরব আমিরাত থেকে ২-৩ দিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। দেশে নেমে অফিশিয়াল কাজ শেষ করেই আমাদের সাথে দেখা করতে আসবে জানিয়েছে। আমরা মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই সাথে মালিপক্ষ কে ধন্যবাদ জানাই।
আইয়ুবের বন্ধু আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, সকালে তাদের বাড়িয়ে গিয়ে খবর পেয়েছি মুক্ত হয়েছে বন্ধু এ খবর শুনে ভাল লেগেছে। যারা মুক্তির বিষয় কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি খুব দ্রত আইয়ুব আমাদের সাথে দেখা করতে আসবে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে ভারত মহাসাগরে জলদস্যুর কবলে পড়ে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে নেয় সোমালিয়ান দস্যুরা। জাহাজে লক্ষ্মীপুরের আইয়ুব খানসহ মোট ২৩ জন নাবিক ছিল।