সারোয়ার মিরন, রামগতি:ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে রবিবার দুপুরের পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ো বাতাস না থাকলেও মেঘনা নদীতে দেখা গেছে আস্বাভাবিক জোয়ার। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ৫থেকে ৭ফুট উচ্চতায় জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেশ কয়েকটি তীরবর্তী গ্রাম। নদীতে সব ধরনের নৌযান এবং মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে আলেকজান্ডার-ভোলা নৌরুটে যান চলাচল।
দুর্যোগপূর্ন এ আবহাওয়া মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন দপ্তর বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় অত্যধিক ঝুঁকিতে থাকা ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- চরআবদুল্যাহ, চরগাজী, বড়খেরী, চররমিজ, চরআলগী, চরআলেকজান্ডার এবং রামগতি পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় মেঘনা উপকূলবর্তী ৬টি ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভায় প্রস্তুত আছে ৩১টি আশ্রয়ন কেন্দ্র। পাশাপাশি প্রস্তুত করা হয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম।
উপজেলা জুড়ে সতর্কতা মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদ। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও মেঘনা উপকূলে জেলেদের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে উপজেলা আনসার বিডিপির একাধিক টিম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশীস মজুমদারকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম।
ক্যুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে বহুলঝুঁকিপূর্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চরআবদুল্যাহর সাধারন জনগনকে বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ চলছে। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অফিসার ইনচার্জ মো. মোসলেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রস্তুত করা হয়েছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
রামগতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।