লক্ষ্মীপুরে ইজারাদারদের ভয়ে জমিতে যেতে পারছে না ব্যবসায়ী

নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে ইজারাদারদের মারধরের ভয়ে ব্যবসায়ী পরিবার নিজেদের মালিকনাধীন জমিতে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ আল মামুন শিমুল লিখিত অভিযোগ করেন। জেলা পুলিশ সুপার অভিযোগটি তদন্তের করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

ভূক্তভোগী শিমুল সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের আবদুর রব চৌধুরীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্র জানায়, সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা গ্রামে শিমুলদের মালিকানাধীন ২ একর জমিতে দুটি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়গুলো ২০২০ সালের ৯ জুলাই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ৫ বছরের জন্য পাশ্ববর্তী গ্রামের ফয়েজ ইসলাম আবেদ, নাজিম রহমান ও মো. রাজুর কাছে ইজারা দেওয়া হয়। তখন তারা ১ লাখ টাকা দেয়। ২ বছর পার হলেও তারা বাকি ১ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়নি। ইজারাদাররা ওই জমিতে থাকা গাছপালা ও জলাশয়ের মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। এসবের কারণ জানতে চাইলে ও বাকি টাকা চাইলে ইজারাদাররা শিমুলদের মারধরের হুমকি দেয়। এতে পাশের অন্য জমি দেখতে যেতে পারছে না শিমুলসহ তার তিন ভাই।

অভিযুক্ত ফয়েজ ধর্মপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে, নাজিম চরমনসা গ্রামের শাহ জালালের ছেলে ও রাজু ধর্মপুর গ্রামের আবদুর রহিম পাটওয়ারীর ছেলে।

অভিযুক্ত ফয়েজ ইসলাম আবেদ ও মো. রাজু জানায়, মাছ চাষের জন্য শিমুলদের কাছ থেকে তারা জলাশয় ইজারা নেয়। তখন তিনভাগে শিমুলদেরকে ১ লাখ ৬০ হাজার দেওয়া হয়েছে। টাকা দেওয়ার কিছুদিন পর তারা স্ট্যাম্প দেয়। এতে দুটি স্ট্যাম্পে ১ লাক ২০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়। বাকি টাকার কথা তারা উল্লেখ করেনি। এদিকে ইজারার মেয়াদ শেষ না হতেই শিমুলরা অন্যের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এতে জমির কথিত মালিক আবদুল মতিন তাদেরকে জলাশয় থেকে মাছ ধরতে দিচ্ছে না। দুই বছর আগে জমির পাশের আবদুল হামিদরা মাটি নিয়ে গেছে। বিষয়টি শিমুলকে তখনই জানানো হয়েছে। এখন মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে। শিমুলদেরকে মারধরের হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।

জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন বলেন, আমাকে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে। তাদের বসে ঘটনাটি বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন