নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে মাছ শিকারের অভিযোগে তিন জেলেকে আটক করা হয়েছে। জালগুলোর আনুমানিক মূল্য ৭৫ লাখ টাকা।
এসময় তাদের কাছ থেকে পৌনে চার লাখ মিটার জাল এবং ১১০ কেজি মাছ এবং একটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
মৎস্য প্রশাসন জানায়, বুধবার (৮ মার্চ) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মেঘনা নদীর সদর উপজেলার অংশে যৌথ অভিযান চালায় মজুচৌধুরীর হাট কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ।
এসময় জয়নাল (৫৫), মনির হোসেন (২০) ও জামাল হোসেন নামে তিন জেলেকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী মোহন গ্রামে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জামাল হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাকি দুই জেলেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া জব্দকৃত মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। মজুচৌধুরীর হাট ঘাটে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয় জালগুলো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, মজুচৌধুরীর হাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের ও কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পেটি অফিসার এস আসলামুল হক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম সিরাজুল সালেহীন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অভয়াশ্রম মৌসুমে নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। সরকারের এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে তিন জেলেকে আটক করা হয়।
এদিকে বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত মজুচৌধুরীর হাটের মাছঘাট এলাকায় একটি বরফ কলের বৈদ্যুতিক লাইন বিচ্ছিন্ন করে বরফ কলের মালিককে সতর্ক করে দেন। পরে সেখানে মেসার্স জামিদ ট্রেডার্স নামে একটি তেলের দোকানে অভিযান চালিয়ে লাইসেন্স না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।