প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে (প্রায় ৫০ গ্রাম) ছোলা খেলে মাছ-মাংসের ঘাটতি পূরণ হয়। তাই সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারিতে ছোলা খেলে গোশত, মাছ বা ডিমের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান শরীরে প্রবেশ করে।
কেন ইফতারে ছোলা খাবেন:
অস্থির ভাব দূর হয়
ছোলার শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম, যা শরীরে প্রবেশ করলে অস্থির ভাব দূর হয়। ছোলা খাওয়ার পর বেশ অল্প সময়েই হজম হয়।
ডায়াবেটিস
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলা শর্করা গ্লুকোজ হয়ে দ্রুত রক্তে চলে যায় না। ছোলা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুবই উপকারী খাবার। ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালি অতিক্রম করতে থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। ফলে খাদ্যনালির ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা কমে।
চর্বি কমায়
নিয়মিত ছোলা খেলে আর নিয়মমতো পায়খানা হলে খাদ্যনালিতে ক্ষতিকর জীবাণু থাকতে পারে না। ফলে খাদ্যনালির ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে না বলা যায়। এর আঁশ রক্তের চর্বি কমায়। ছোলা দীর্ঘক্ষণ ধরে শক্তির জোগান দেয় শরীরে।
রোগ প্রতিরোধ করে
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করে
এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী।
রমজানে ইফতারে বেশি বেশি করে ছোলা খেয়ে নিজের শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখুন।