নোমান-রাকিব হত্যায় জড়িত স্বেচ্ছাসেবকলীগের ২ নেতা বহিস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সাল ও সদস্য আরমান হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সদরের বশিকপুরে আলোচিত যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (০৪ মে) দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

মঙ্গলবার (০২ মে) রাতে বহিষ্কৃত দেওয়ান ফয়সাল হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে লক্ষ্মীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আগের দিন সোমবার ঠাকুরগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। এ ছাড়া ৩০ এপ্রিল রাতে আরমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা বর্তমানে জেলা কারাগারে আছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল রাতে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যাকাণ্ডে ফয়সাল ও আরমানের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়েছে। এতে তাদেরকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের গঠনতন্ত্রের ৩৪ ধারার (ট) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বহিষ্কার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

যদিও ঘটনার পর থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল গণমাধম্যকে বলেছেন, ফয়সাল ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তার সঙ্গে ছিলেন।

ফয়সালের ১৬৪ ধারায় আদালতে দেওয়া জবানবন্দির বরাত দিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে তার (ফয়সাল) মোবাইলফোনে এক ব্যক্তির কল আসে। তখন তাকে বলা হয় নোমানকে মারতে হবে। পরে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বশিকপুরের নাগেরহাট যায়। সেখান থেকে হেটে হেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গিয়ে অন্যান্যদের সাথে মিলিত হয়। ওই ঘটনায় সবাই অস্ত্রধারী ছিল। পরে নোমান ও রাকিবকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন