নোয়াখালীতে সড়কের বেহাল দশা, অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

সোনাপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়ক অবিলম্বে সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আটকিয়ে সোনাপুর-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক ব্লক করে এই আন্দোলন করেন তারা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে এই সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। তবে রোগী বহনকারী সিএনজি-অটোরিকশা ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী আন্দোলন করার পর ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, সোনাপুর-বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক অনেক আগে থেকেই ঝু্ঁকিপূর্ণ। সম্প্রতি খাল খননের পর মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে এই সড়ক। খাল খননের ফলে দেবে গেছে সড়কের বিভিন্ন অংশ। এই সড়ক ব্যবহার করে নিয়মিত ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিআরটিসির ডাবল ডেকার বাস। দ্রুত সড়কটির সংস্কার চান তারা। এদিকে সরেজমিনে গিয়েও দেখা যায় সড়কের এমন দৃশ্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইকবাল হোসাইন সুমন বলেন, সড়ক সংস্কারের লক্ষ্যে সড়ক বিভাগের নোয়াখালী অফিসে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে সড়ক সংস্কারের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরও একই কথা বলেছেন।

যেসব কারণে বেড়েছে সড়কের ঝুঁকি

সম্প্রতি সোনাপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত খাল নতুন করে খনন করা হয়। কিন্তু সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে কোনোপ্রকার সমন্বয় ছাড়াই খাল খনন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার শাকিরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে খাল খননের উদ্যোগ নিত তাহলে এত বড় সমস্যায় পড়তে হত না। এখন আমরাও বিপদে। সড়কের বিভিন্ন অংশ দেবে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ সমিতির সঙ্গেও মনে হয় না আলোচনা করে খাল খনন করা হয়েছে। সড়ক দেবে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের খুঁটিগুলোও কিন্তু এখন ঝুঁকিতে।

সড়ক কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এই সড়কে ডাবল ডেকার বাস দিয়ে যাতায়াত করে। আমরা এখন চেষ্টা করছি দেবে যাওয়াটা দ্রুত ঠেকাতে। কাঠ দিয়ে মাটি আটকানোর চেষ্টা করছি৷ এরপর বস্তা ফেলা হবে। এই কাজটি শেষ করেই আমরা সড়কের উপরের কাজ ধরব। আশা করি দ্রুতই এটা করতে সক্ষম হব।

আরও পড়ুন