নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে আবদুল করিম শুভ নামে ২৫ বছর বয়সী এক দিনমজুর কিডনিজনতি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সংসারে আড়াই বছর বয়সী শিশু সন্তানসহ স্ত্রী থাকলেও টাকা পয়সা নেই। স্ত্রীও বর্তমানে ৭ মাসের অন্তসত্ত্বা। এ অবস্থায় শুভকে টাকার অভাবে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় তাঁর চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সহযোগীতার জন্য সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন তাঁর কোহিনুর বেগম।
এদিকে দিন দিন তাঁর অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকায় রেফার করা হলেও টাকা অভাবে তা পারছে না পরিবার। শুভর চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন বিভিন্নজনের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে। তাঁর বন্ধুরাও বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, শুভর বাবা নেই। খুব ছোটকালেই তাঁর বাবা মারা যান। তার মা তাকে লালন পালন করে বড় করেছেন। দিনমজুর হিসেবে কাজ করে কয়েক বছর ধরে নিজেই সংসার চালাচ্ছেন। প্রায় ৪ বছর আগে বিয়ে করেন। এখন তার সংসারে আড়াই বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে সাত মাসের অন্তসত্ত্বা। প্রায় ৯ মাস আগে হঠাৎ করে শুভ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন কয়েকদিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরপর ঢাকায় গিয়েও চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করেছেন। তখন তার একটি কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। গত এক মাস আগে তাঁর অবস্থার অবনতি ঘটলে পরীক্ষার নিরীক্ষায় দুটি কিডনিতেই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এরপর সদর হাসপাতাল ৭ দিন ও নোয়াখালীর আবদুল মালেক হাসপাতালে প্রায় ২০ দিন ভর্তি ছিল। এরমধ্যে গত দুইদিন বাড়িতে আনা হলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এতে রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে ফের তাকে নোয়াখালীর আবদুল মালেক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
শুভ বর্তমানে নোয়াখালী আবদুল মালেক হাসপাতালে কিডনী বিশেষজ্ঞ ফজলে এলাহি খাঁনের তত্ত্ববধানে রয়েছে।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শুভর মা কোহিনুর বেগম বলেন, শুভর অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলেটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শুয়ে আছে। তার দিকে তাকালে খুব কষ্ট হয়। একবার কিডনি ডায়ালাইসিস করতে ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়। কিডনি প্রতিস্থাপন করা খুবই জরুরী। তা না হলে আমার ছেলেটিকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। শুভকে বাঁচাতে সবার কাছে আর্থিক সহযোগীতা চেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার কাউন্সিলর জাহিদুজ্জামান চৌধুরী রাসেল বলেন, শুভ আমার এলাকার বাসিন্দা। ছেলেটি খুবই অসহায় ও গরীব। চিকিৎসা করানোর মতো টাকা নেই। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নোয়াখালীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।