সহপাঠীদের দিয়ে এক মুসলিম ছাত্রকে চড় মারানোর ঘটনায় বন্ধ করে দেওয়া হলো ভারতের উত্তর প্রদেশের সেই স্কুলটি। কর্মকর্তারা বলেছেন, শিক্ষা বিভাগের মানদণ্ড পূরণ করতে না পারায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নেহা পাবলিক স্কুল। এর শিক্ষার্থীদের কোনো সরকারি স্কুল অথবা আশপাশের অন্য কোনো স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, সময়সূচি নিয়ে সমস্যা হওয়ার কারণে সহপাঠীদের দিয়ে লাঞ্ছিত করানো হয়েছিল তাকে।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক তৃপ্তি ত্যাগীর দাবি, বিতর্কিত ওই ঘটনায় তিনি মোটেও লজ্জিত নন।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুজাফফরনগরে অবস্থিত ছোট স্কুলটির শিক্ষক তৃপ্তি ত্যাগী এক ছাত্রকে শাস্তি দিচ্ছেন। তিনি সহপাঠীদের উঠে এসে ওই ছাত্রকে চড় মারতে বলছিলেন।
ভিডিওতে তাকে এক শিক্ষার্থীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ওকে এত আস্তে কেন মারছো? জোরে মারো।
এসময় ছাত্রটিকে কাঁদতে দেখা যায়। শিক্ষক আরও বলছিলেন, ওর পিঠে মারো… মুখ লাল হয়ে গেছে। এবার পিঠে মারো।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা পুলিশে অভিযোগ করেন। তিনি আর তা সন্তানকে ওই স্কুলে পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।
গত রোববার শিক্ষা কর্মকর্তা শুভম শুকলা জানিয়েছেন, ঘটনাটি তদন্ত করছে কর্তৃপক্ষ।
অন্য এক কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, স্কুলটিতে কোনো বৈদ্যুতিক বাল্ব ও ফ্যান ছিল না। এমনকি আলাদা আলাদা ক্লাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থাও ছিল না।
স্কুল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেননি তৃপ্তি ত্যাগী।
সূত্র: বিবিসি