ফেনীর সোনাগাজীর পৌর শহরসহ পুরো উপজেলায় বেওয়ারিশ কুকুরের প্রকোপে অসহায় হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসেই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নিয়েছে ২৫৫ জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সব এলাকায় ১০-১৫টি করে কুকুর দল বেধে চলাচল করছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে তাড়িয়ে কামড়ানোর চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ কুকুরের দল। এসময় কেউ কেউ চলন্ত যানবাহনের সামনে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।
কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, কুকুরের প্রজননের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পৌর শহরসহ উপজেলাব্যাপী কুকুরের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনি নিষেধাজ্ঞার দোহাই দিয়ে কেউ এ বিষয়ে ব্যবস্থাও নিচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ কুকুরের দল সোনাগাজী কলেজ রোড, তাকিয়া রোড, কাশ্মির বাজার রোডসহ উপজেলা বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, কুকুরের ভয়ে আমরা সকালে বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাই।
চর সাহভিকারি গ্রামের বেলালের স্ত্রী ময়না আক্তার (৩৫) কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নিতে এসে বলেন, কুকুরগুলো পাগল হয়ে গেছে, মানুষ দেখলেই তেড়ে আসে। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই গত পরশু কয়েকটি কুকুর ঘিরে ধরে এবং একটি কুকুর কামড় দেয়।
চরচান্দিয়া ইউনিয়নের আবুল হোসেন জানান, তার ৯ বছর বয়সী শিশু ইমাম হোসেনকে স্কুলে যাওয়ার সময় কুকুর কামড় দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলে।
সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ জানান, গত আগস্ট মাসে শুধু আমাদের হাসপাতালে ২৫৫ জন কুকুরে কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। জেলা সদরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে এর সংখ্যা অনেক বেশি। কুকুরে কামড়ে আহত হয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭-৮ জন ভ্যাকসিন নিতে আসছে।
সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, কুকুরের উপদ্রব নিয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ অভিযোগ নিয়ে আসছে। কিন্তু এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমার চাইলেও কিছু করতে পারছি না।