কক্সবাজারে ফিশিং ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনিয়ে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যু হলো। এছাড়া দগ্ধ আরও পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দগ্ধদের মধ্যে ছয়জন চমেক হাসপাতালে মারা যান। আর ঢাকা নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।
তিনি বলেন, কক্সবাজারে ফিশিং ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ রফিকুল ইসলাম নামে আরেক জেলে মারা গেছেন। তিনি আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শরীরে ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আগুনে শ্বাসনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর রাতে শফিকুল ইসলাম (২৬), তার আগে ভোররাতে রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) এবং শাহিন (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওসমান গণি (২০) নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার আগে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নেওয়ার পথে আয়ুব আলী নামে আরেক জেলের মৃত্যু হয়।
১ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা এফবি লাকি নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ট্রলারটিতে ১৮ জন জেলে ছিলেন। এতে দগ্ধ হন ১২ জন। তারা সবাই কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়াপাড়া ও সমিতিপাড়ার বাসিন্দা।
