শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং লক্ষ্মীপুর যুবলীগ

চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল : বর্তমানে সময়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে আলোচিত ইউনিট যুবলীগ। এর প্রধান কারণ- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতৃত্ব যেদিন হাতে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু রক্তের উওরসূরী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা, মুজিববাহিনীর প্রধান শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য সন্তান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। আর সেইদিন থেকে আমার মত লাখো নেতাকর্মী বিশ্বাস করেছিলেন যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, বাবার হাতে গড়া সংগঠনকে সেরাদের সেরা সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলবেন। ঠিক সেভাবেই গড়ে তুলেছেন অল্প সময়ে পুরো বাংলাদেশে।

শেখ পরশ প্রতিষ্ঠিত করেছেন মানবিক যুবলীগ আর প্রমাণ করে চলছেন। এই সংগঠনের নেতা হতে কালো টাকা, অপরাজনীতি কিংবা অপসংস্কৃতি দিয়ে কাউকে হারিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে লাগবে দেশ ও দলের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, বিশ্বাস, সামাজিক ও রাজনৈতিক যোগ্যতা। লাগবে মেধার বিকশিতা এবং দলের ক্রাইসিস মোমেন্ট ত্যাগী ও সাহসী নেতৃত্ব। সেই সাথে আওয়ামী পরিবার আর বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলে তো কথায় নেই।

তাইতো, লক্ষ্মীরের ইতিহাসে এই প্রথম লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি/সম্পাদক হওয়ার জন্য কিংবা শেখ পরশের নেতৃত্বে রাজনীতি করার জন্য বিগত ৫-৬ জেলা ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি-সাধারণ-আহবায়ক-যুগ্ম-আহবায়ক প্রায় ৬-৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে সাথে রয়েছে জেলা যুবলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দেও ৩-৪ জন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃত্বরা। যারা এই জেলায় আলোচিত, পরীক্ষিত ও তৃনমূলের কাছে ভালোবাসার নেতৃত্ব। যারা প্রমাণ দিয়েছে ঢাকার রাজপথে যুবলীগের যুব সমাবেশ ও লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাসহ দলের অতীত বর্তমান বিভিন্ন ক্রাইসিস মোমেন্টে।

শুধু তাই নয়, জেলা যুবলীগের বর্তমান বেশিরভাগ প্রার্থী লক্ষ্মীপুরের সকল সিনিয়র নেতাদের পছন্দের তালিকায় যোগ্য সংগঠক হিসেবে পরিচিত। তাই জেলার সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সময় চেয়েছেন যে, এদের মধ্যে কাউকে জেলা আওয়ামীলীগের কমিটিতে, কাউকে উপজেলা আওয়ামীলীগ কিংবা পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আসুক।

কিন্তু অবাক করা বিষয়, প্রায় সকলে শেখ পরশের নেতৃত্বে এতটা আকর্ষিত হয়েছে যে, জেলা যুবলীগের কমিটিতে যেখানেই রাখুক না কেন, তাঁরা শেখ পরশের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে নিজেকে সক্রিয় রাখতে চায়। এবং জিতিয়ে আনতে চায়, স্বাধীনতার প্রতিক বঙ্গবন্ধুর নৌকার মনোনীত মাঝিকে। এই অঞ্চল থেকে ভাঙ্গতে চায় জামায়াত-বিএনপির দূর্গ। ইনশাআল্লাহ, বর্তমান যুবলীগের প্রার্থীদের দ্বারা তা সম্ভব।

অনেক শুভ কামনা থাকবে যারা আগামীর লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কান্ডারী হবেন। এতে জনন্দিত যুবনেতা, যুবলীগের শুদ্ধ পুরুষ শেখ পরশের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। জয় বাংলা বলে আগে বাড়ো।।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল
বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
সাবেক সভাপতি, লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগ
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগ।।

আরও পড়ুন