লক্ষ্মীপুরে নৌকার মিছিল থেকে বিএনপির ফেস্টুন ভাঙচুরের অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উত্তর তেমুহনী-দক্ষিণ তেমুহনী বাজার সংযোগ সড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো বিএনপির ফেস্টুন ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

 

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর নেতৃত্বে মিছিলে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী অংশ নেন।

 

মিছিলে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম ভুলুসহ অন্যরা।

এ ব্যাপারে সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ বলেন, ‘বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন শহরে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছিল। আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সেসব ফেস্টুন ভাঙচুর করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।

 

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ দলটি সন্ত্রাসী স্বভাবের। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে তারা ক্ষমতায় বসে আছে। কিন্তু এভাবে তারা বেশি দিন টিকবে না।’

নৌকার প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। নৌকায় ভোট চেয়ে আমি জনসমর্থনে মিছিল করেছি। অতিউৎসাহী হয়ে কেউ বিএনপির ব্যানার-ফেস্টুন ভেঙেছে কি না আমি জানি না। আমি অপকর্ম সমর্থন করি না। কেউ আমাকে কোনো কিছু জানায়নি।

উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী রয়েছেন। ৫ নভেম্বর এ আসনের ১১৫ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন নারী ভোটার।

আরও পড়ুন