রামগঞ্জে বীমার টাকা জমা দিতে গিয়ে কর্মীর হাতে নারী গ্রাহক খুন

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বীমার টাকা জমা দিতে গেলে মরিয়ম বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে হত্যার ঘটনায় বীমা কর্মী লিটন কুমার দাসকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রামগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করেছে। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 

এর আগে রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লার লাকসাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লিটন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপটি গ্রামের পূর্ব গুপটি বাজার এলাকার মৃত সুরেশ চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি রামগঞ্জ উপজেলা ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কার্যালয়ের কর্মী।

 

এজাহার সূত্র জানা যায়, নিহত মরিয়ম উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মালেক হাজী বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী। ২১ সেপ্টেম্বর ছেলে মিনহাজকে (৪) সঙ্গে নিয়ে তিনি টাকা জমা দিতে রামগঞ্জ টাওয়ারের চতুর্থ তলায় ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্সে যান। কিছুক্ষণ পরই লিটন মরিয়মের স্বামী মনিরকে ফোন দিয়ে জানান যে, তার (মনির) স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার ছেলে মিনহাজ বীমা অফিসে বসে আছে। মনির দ্রুত আসে ছেলেকে নিয়ে যেতে ও তার স্ত্রীকে খুঁজে বের করতে। পরে মনির বীমা কার্যালয়ে এসে ছেলেকে স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করে। মিনহাজ তখন একটি গলি দেখিয়ে বলে এখান দিয়ে মা চলে গেছে। কিন্তু ওই গলিতে কোনো দোকান বা মানুষের চলাচল নেই। একপর্যায়ে লিটনকে মনির কল দিলে তিনি সদুত্তর না দিয়ে ফোন কেটে দেন। এতে মার্কেটের বিভিন্নস্থানে খোঁজ করার একপর্যায়ে রামগঞ্জ টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ডে মরিয়মের মরদেহ পাওয়া যায়। মরিয়মের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরদিন নিহতের স্বামী মনির বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলি উল্লাহ বলেন, আসামি লিটন মরিয়মকে ছাদের ওপর থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এজন্য রিমান্ডের প্রয়োজন নেই। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন