নাজুক অবস্থায় পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। বিশ্বকাপে তার দল ভালো করছে না, নিজেও ব্যর্থতায় ঘুরপাক খাচেছন। অথচ রমরমা অবস্থায় বিশ্বকাপে খেলতে এসেছিল ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটি। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঝপথে জৌলুস হারিয়েছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। তারই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের পর অধিনায়কত্ব হারাতে পারেন বর্তমানে ওয়ানডে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা বাবর আজম।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এখন বাবর আজমকে সরিয়ে দিতে চাইছে। অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে পিসিবি। বোর্ড মনে করছে বাবরকে যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু তিনি নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। ফলে নতুন অধিনায়ক খোঁজার কাজ শুরু করেছে পিসিবি।
বিশ্বকাপের পরপরই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, সামনে রয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তারপর ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল দারুণ। প্রথম দুই ম্যাচের জয় তাদেরকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছিল। কিন্তু পরপর তিন ম্যাচ হার দলটিকে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের কাছে। বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না পিসিবি।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরবর্তী সব ম্যাচ জিতে বাবর যদি দলকে সেমিফাইনালে নিতে পারে তাহলে হয়তো তার নেতৃত্ব রক্ষা হতে পারে। তবে সাদা বলে অর্থাৎ ওয়ানডে ক্রিকেটে তাকে নেতৃত্বে রাখা হবে না। তখন শুধু টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকবেন তিনি।
পিসিবি’র এমন সিদ্ধান্তের কথা এরই মধ্যে জেনে গেছেন বাবর আজম। ফলে বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও নিজেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে পারেন। এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাবরকে সব ধরণের সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। অধিনায়ক হিসেবে নিজেই দল বেছে নিতে পারতেন। কখনো তার কাজে বাধা দেওয়া হয়নি। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে সব ব্যর্থতা তার। ফলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
বাবরের পরিবর্তে কাকে নেতৃত্ব দেওয়া হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রিজওয়ান তালিকায় রয়েছেন। সঙ্গে আছেন সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।