নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে নির্মাণাধীন মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া পারভিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় ভাঙচুর করা মার্কেটের সামনে ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ আয়োজন করেন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে সাজিয়া পারভিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই মার্কট গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বেআইনীভাবে মার্কট গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করা হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য রাকিবুল আহসান, তার মা শাহেনা আক্তার, বোন জান্নাতুন নাইম, দোকানের কর্মচারী আবদুল মান্নান ও লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মো. তফছির আহম্মদসহ কয়েকজন।
মানববন্ধনে রাকিবুল আহসান জানায়, ঘটনাস্থলে সমসেরাবাদ মৌজায় ১০৭৫ ও ১৭৫১ নং খতিয়ানে ৩৭ দাগে তার বাবা মাহফুজুর রহমান ৭ শতাংশ জমির মালিক হন। ওই জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে তিনি ব্যবসা করে আসছেন। কয়েকটি দোকান ভাড়ায় ছিল। ২০২২ সালে সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য জমির একাংশ (মার্কেটের সামনের অংশ) সড়ক বিভাগ অধিগ্রহণ করে। ওই জমিতে ড্রেনের কাজও চলমান। আর বাকি জমিতে নতুন করে ৮টি দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু সড়ক বিভাগ তাদের কাছ থেকে বাকি জমিও দাবি করে। এনিয়ে তিনি উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন করেন। উচ্চ আদালত থেকে জেলা প্রশাসকের বেআইনি তৎপরতা কেন অবৈধ ঘোষণা হবে না বলে একটি রুল জারি করা হয়। এ আদেশটি প্রাপ্তির ৬০ দিনের মধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি আইনগতভাবে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।
রাকিবুল আহসান বলেন, জমি অধিগ্রহণ করায় আমাদের দোকানগুলোর সামনের অংশ ভাঙতে হয়। পরে বাকি জমিতে ফের দোকান নির্মাণ কাজ শুরু করি। তখন জেলা প্রশাসন থেকে একটি চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। এতে আমরা উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করি। এনিয়ে উচ্চ আদালত একটি আদেশ দিয়েছিল। ওই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ব্যবসা মার্কেট গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
যুবলীগ নেতা তফছির আহম্মদ বলেন, মাহফুজুর রহমান আমার মামা। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে সড়ক বিভাগ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মামার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাজিয়া পারভিন সাংবাদিকদের বলেন, ওই জমি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের। মাহফুজরা অবৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছে। সওজ অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে তাদের জমি উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রীট ও আদেশের কোন কপি আমরা এখনো পাইনি।
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।