প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের বাসায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ.এস.আই) হুমায়ুন বাশার দেওয়ানের বাসার কলাপসিবল গেট ও কাঠের দরজার তালা ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৫ হাজার টাকা লুটে নেয় দুই চোর। চোরদের দাওয়া করতে গিয়ে রিফাত নামে এক কিশোর আহত হয়। ভুক্তভোগী পুলিশের এ.এস.আই হুমায়ুন বাশার দেওয়ান বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশে কর্মরত আছেন।
শনিবার (১৬ মার্চ) গভীর রাতে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) আবিরনগর এলাকার ‘দেওয়ান ভিলায়’ এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ফারজানা আক্তার তার বাবার বাড়ী কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নে বেড়াতে যান ৩ সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে। প্রতিবেশী রোকেয়া বেগমকে বাসার (ঘর-বাড়ি) তালা-চাবি দিয়ে যান দেখভাল করার জন্য। (১৬ মার্চ ) শনিবার ইফতারের পর ওই নারী তাদের বাড়ির প্রধান ফটকের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে দেখতে পান ভিতর থেকে বন্ধ। তখন তিনি গেইটের বাহির থেকে থেকে পান দুইজন চোর বাসার ভিতরে আসবাবপত্র তছনছ করছে। চোরচোর বলে চিৎকার চেঁচামেচি করলে আশপাশ থেকে লোকজন আসা শুরু করলে বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে দুই চোর পালিয়ে যায়। তাদের ধাওয়া করলে রোকেয়া বেগমের ছেলে রিফাতকে এক চোর আঘাত করে ও অস্ত্র দেখিয়ে পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে এ এলাকায় চুরি ও ডাকাতির সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। দ্রুত পুলিশ প্রশাসন সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে এসব চক্রদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবী।
উল্লেখ্য: বুধবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাতে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ড আবিরনগর এলাকায় সেকান্দর হায়দারের বাড়িতে একদল ডাকাত অস্ত্র দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী রায়হান মাহমুদ ও ফোরকানদের টিনসট ঘরে প্রবেশ করে বাসিন্দাদের ধারালো চাকু এবং বন্দুকের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুটে নেয়।
লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পুলিশ সদস্যের বাড়িটি সম্পন্ন একটি বিচ্ছিন্ন। বাড়ীতে কেউ না থাকায় চুরি সংঘটিত হয়েছে। বিষয়টি আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করছি।