প্রতিনিধি: টানা বর্ষণের কারণে পানি জমে বন্যায় লক্ষ্মীপুরে প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নতুন নতুন করে এলাকা সমূহ প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও রামগঞ্জের সর্বত্র বন্যায় নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে জানা গেছে। ২৪ আগষ্ট গভীর রাত থেকে পানি বেড়ে গেছে। সরকারী বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ করা হলেও অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণ পোঁছায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর, বারাইপুর, বাবলাতলী, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহর কসবা, মধ্য শহর কসবা, চর মটুয়া,কুশাখালী ইউনিয়নের ছিলাদী, ফরাশগঞ্জ, দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দূগাপুর, পশ্চিম দূর্গাপুর, নিশ্চিতপুর ।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থায়ী ১৬০ টি ও ৮৫ অস্থায়ী আশ্রয়ণ কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ২৫ আগষ্ঠ পর্যন্ত ৭১৫৮ জন আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান জানান, অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে প্লাবিত এলাকা সমূহে পাঠানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক আমাদের কর্মীরা পর্যবেক্ষণে রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো স্লুইস গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের সময় গেইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে নোয়াখালী পানি গুলো লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করছে এতে করে নতুন নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকর্তা ইউনুছ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, লক্ষ্মীপুরের ৪ টি পৌরসভাসহ ৫৮ টি ইউনিয়নে বন্যায় পানি প্রবেশ করেছে। সরকারী হিসেব মতো জেলায় ৬ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ লোক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় এক লাখ ২৪ হাজার পানি পানিবন্ধী অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে জেলা প্রশাসন সদর সহ ৫ টি উপজেলায় ৪১৭.০০০ মে:টন চাউল নগদ ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জেলায় ৩২৮০ জন সেচ্ছাসেবক নিয়োজিত আছে। ৬৪ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খাল দখল বা বাঁধ নির্মাণ করার ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন ১০ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বাধ অপসারণ করা শুরু করেছে। এ ছাড়া বন্যায় এলাকা সমূহে শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
সুরাইয়া জাহান বলেন, বন্যায় অনেক মানুষ পানিবন্দি। মানুষের সহায়তায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শুকনো খাবার বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত চালু রয়েছে।