নিজস্ব সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে চর দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এসময় ককটেল ফাটিয়ে ৯টি গরু, টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রোববার (২৯ জুলাই) ভোরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরমেঘার উত্তর চররমনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরের চরমেঘা দখলকে কেন্দ্র করে ভোলার একটি পক্ষ লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদের মধ্যে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেঘনা নদীর বুকে জেগে ওঠা সদর উপজেলার চরমেঘাতে লোকজন বসবাস ও চাষাবাদ করে আসছেন। ওই চরে নিজাম মাতাব্বর, শাহ সর্দার ও মোসলেম উদ্দিনসহ শতাধিক পরিবার রয়েছে। চরটি দখলে নিতে ভোলার বাসিন্দা মিন্টু খাঁ, হালিম মিয়া, রাসেল খাঁ চেষ্টা করে আসছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
রোববার ভোরে মিন্টু খাঁ, হালিম মিয়া ও রাসেল খাঁর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন লাঠিয়াল ট্রলার নিয়ে চরমেঘার উত্তর চররমনী গ্রামে আসেন। এসময় নিজাম মাতাব্বর, শাহ সর্দার ও মোসলেম উদ্দিনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে হাবিল মাঝি, ঝুনু আক্তার, জোহরা বেগম, খালেদা বেগম ও ইসমাইল আহত হন। হামলাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে লুট করে যাওয়ার পথে কয়েকটি ঘরে আগুন দেন।
ভুক্তভোগী নিজাম মাতাব্বর বলেন, ভোলার সন্ত্রাসীরা চর দখলে নিতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমাদের টাকা, স্বর্ণ, গরুসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। তাদের হামলায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মিন্টু খাঁ ও হালিম মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, হামলাকারী ডাকাতরা বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। তারা গরুসহ মালামাল নিয়ে গেছে। চরমেঘা লক্ষ্মীপুরে, কিন্তু ভোলার লোকজনও দখল করতে চায়।