রায়পুর সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে সাইফুল আলম মৃধা (৬২) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় দু’পক্ষের নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে আহত সাইফুলকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। তিনি পুরান ঢাকার শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী।
রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শামছুল আরেফিন বলেন, জমি নিয়ে দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এরমধ্যে বড়ভাই মারা গেছেন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত চলছে। তবে আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কবিরহাট এলাকায় সাইফুল আলম ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন মৃধার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে জমি দখল পাঁয়তারা ও হুমকি অভিযোগ এনে দেলোয়ার শনিবার দুপুরে থানায় সাইফুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। দেলোয়ার দৈনিক খবরপত্রের রায়পুর প্রতিনিধি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা হামলা, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নাহার বেগম, দেলোয়ার হোসেন মৃধা, নাজমুন নাহার, আবু মুছা মোহন ও শিমুল হোসেনসহ ৮ জন আহত হয়। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত সাইফুল আলমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে চাঁদপুরে মারা গেছেন।
নিহত সাইফুল আলমের স্ত্রী নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার মৃধা লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার জন্য দেলোয়ার দায়ি। আমি বিচার চাই।
ঘটনার পর দেলোয়ার হোসেন মৃধা মোবাইলে ফোনে সাংবাদিকদের জানায়, তার ভাই, ভাবি, ভাতিজা অন্যায়ভাবে জমি দখল করতে আসে। এসময় বাধা দিতে গেলে তারা অতর্কিত হামলা করে আহত করে। এমন আশঙ্কায় এরআগে তিনি থানায় অভিযোগ করেছেন। ভাতিজা তাকে মারতে গেলে ভাইয়ের শরীরে আঘাত লাগলে তিনি স্টক করে পরে মারা গেছে।
বামনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তােফাজ্জল হোসেন মুন্সি বলেন, জমি নিয়ে আপন দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। ঘটনার সময় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মারামারি হয়। পরে আহত একজনের মৃত্যু হয়।