নিজস্ব সংবাদদাতা: অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন হারুন। তার উপার্জনেই চলে পাঁচ সদস্যের সংসার। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে বের হয়ে এসে দেখেন অটোরিকশার নতুন ব্যাটারিটি আর নেই। যার দাম ছিলো ২২ হাজার টাকা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও পায়নি অটোর নতুন ব্যাটারিটি। তারপরই কেঁদে ফেলেন হারুন (৩৮)।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সরকারি হাসপাতাল জামে মসজিদের সামনে এমন ঘটনা ঘটেছে। অটোরিকশা চালক হারুন (৩৮) পার্শ্ববর্তী জেলার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের আলোনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তার এক মাত্র জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম ছিলো অটোরিকশাটি। কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে নতুন ব্যাটারি গুলো কিনেন। অটোরিকশা কেনার কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাটারি গুলো নষ্ট হয়ে গেলে কর্মহীন হয়ে পড়েন হারুন। পরে কিস্তিতে এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে অটোরিকশার ব্যাটিরি কিনে তা সচল করেন।
অটোরিকশা চালক হারুন বলেন, আমি সারাদিন অটো রিকশা চালালেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। অটোরিকশা চালাতে চালাতে যখন নামাজের সময় হয় তখনই আশেপাশে মসজিদে নামাজ আদায় করি। শনিবারও মসজিদের সামনে অটোরিকশা রেখে মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম।
হারুন আরও বলেন, নামাজ শেষ করে এসে দেখি অটোরিকশার নতুন ব্যাটারিটি নেই। এ রিকশা ছিল আমার একমাত্র আয়ের উৎস। ব্যাটারিটি নতুন কিস্তি থেকে টাকা নিয়ে কিনেছি। আমার সন্তানের এসএসসির পরিক্ষা না দিয়ে আগে ব্যাটারিটি কিনেছিলাম।
ওই সময়ে মসজিদের নামাজ আদায় করছিলেন আজাদ তিনি বলেন, একজন অটোরিকশা চালক নামাজে এসে যে তার অটোরিকশার ব্যাটারি হারাতে হবে এটা মানা খুবই কষ্টের। বিত্তবানদের উচিত তার পাশে দাঁড়ানো।