নিজস্ব সংবাদদাতা: আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাজ বেশি, কষ্ট বেশি, তবে বেতন কম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনসার সদস্যদের কষ্ট অনুধাবন করেন। এজন্য তিনি ঢাকায় আনসার সমাবেশে গেলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি চিকিৎসকদের সমাবেশে গেলে যেমন আবেগাপ্লুত হন তেমনি নার্সদের সমাবেশে গেলে আরও বেশি আবেগাপ্লুত হন। কারণ তিনি নিম্নআয়ের মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুধাবন করেন। তার মতো অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রীর এমন গুণ ছিল না। আগামীতে দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব প্রয়োজন।
কথাগুলো বলেছেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ব্যানারে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
এরআগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এছাড়া বিভিন্ন সময় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ১৫ জন সদস্যকে বাইসাইকেল, দুজনকে সেলাই মেশিন ও ৩০ জনকে ছাতা উপহার দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কুমিল্লা রেঞ্জের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বকর ছিদ্দিক, জেলা সিভিল সার্জন আহাম্মদ কবীর, রামগঞ্জ ১৮ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক রোকসানা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, আনসার-ভিডিপি ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা আমাদের তথ্যদাতা হিসেবে কাজ করেন। আনসারদের কাজ খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবিলায় আপনাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদের সঙ্গে নিয়েই নির্বাচনী দায়িত্ব সফল করা হবে। আপনাদের সঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের বাংলাদেশে আমরা ভূমিকা রাখবো।