লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা তিন কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুরে অনিয়মে সম্পৃক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) আইনে মামলা এবং ওই তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে দুই আসনের উপনির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রে অনিয়মের খবর প্রকাশ পেয়েছে।
এসব অভিযোগ নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে ইসি।
তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযোগ ওঠা কেন্দ্রগুলোর ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। কারণ দুই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান অভিযুক্ত কেন্দ্রেগুলোর মোট ভোটের চেয়ে বেশি।
এখন রিটার্নিং অফিসার ওই কেন্দ্রের ভোট বাদ দিয়ে নতুন করে ফলাফল বিবরণী পাঠালে কমিশন গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
অভিযুক্ত কেন্দ্রগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের ৭৪ নম্বর দক্ষিণ খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জালভোট দেওয়ার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে যাত্রাপুর নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা ও শরিপপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব কেন্দ্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
জাহাংগীর আলম জানান, লক্ষ্মীপুরে জালভোট দেওয়ার ঘটনায় দুই জনের বিরুদ্ধে সংশোধিত আরপিও আইনে মামলা হবে। অভিযুক্ত তিন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালনকারী প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তফসিলের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন বলেছে নভেম্বরের প্রথমার্ধে। এখন যেহেতু সময় আছে আপনারা অপেক্ষা করেন।