নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় এখন থেকে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারিদের বদলি বা নিয়োগ করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আগাম অনুমতি প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম। একই সঙ্গে ১৮ ডিসেম্বরের আগে কেউ নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হচ্ছে।
ইসি সচিব বলেন, ‘আজকে থেকে বদলি নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে থেকেই ইসির অনুমতি লাগবে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে আগে থেকেই তাদের পদত্যাগ করতে হবে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত নির্বাচনের প্রচারণা চালানো যাবে। এর আগে কেউ ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবে না।’
গত বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। প্রচারণা শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
দেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানানো হলেও বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এটি প্রত্যাখান করেছে।
এমন এক সময় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হল যখন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাই কারাগারে। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে সহিংসতার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিএনপির যে নেতারা বাইরে আছেন তারাও খুব একটা প্রকাশ্যে আসছেন না। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সারা দেশে ধারাবাহিকভাবেই হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো দুই দলকে সংলাপে আনতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠিও দিয়েছে আমেরিকা সরকার। অবশ্য বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়েই দিয়েছেন ক্ষমতাশীন দলের নেতারা।