লক্ষ্মীপুরে ২১ ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা

নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুরে সকাল থেকে মাঝারি আকারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। একই সঙ্গে বাতাসও বাড়ছে। এ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র করে রামগতি পৌরসভার আংশিকসহ জেলার ২১টি ইউনিয়নকে ঝূঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রামগতিতে সাতটি, কমলনগরে পাঁচটি, রায়পুরে তিনটি ও সদর উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আনা হয়েছে।

 

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ স্বেচ্ছাসেবীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে- রামগতি পৌরসভার আংশিক, উপজেলার চর আবদুল্লাহ, চরআলগী, চর আলেকজান্ডার, চররমিজ, চরগাজী, বড়খেরী। এর মধ্যে চর আবদুল্লাহ নদীবেষ্টিত ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে যেতে ইঞ্জিনচালিত নৌকাই একমাত্র মাধ্যম। কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীর হাট, চরলরেন্স, চরমার্টিন, রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল, উত্তর চরবংশী, দক্ষিণ চরবংশী ও সদর উপজেলার চররমণীমোহন, চররুহিতা, ভবানীগঞ্জ, শাকচর, তেওয়ারীগঞ্জ ও টুমচর ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আনা হয়েছে।

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিধিলা থেকে রক্ষায় ২৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ১৮৯টি স্থায়ী ও ১০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অস্থায়ী হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ কেন্দ্রগুলোর ১০ লাখ ৫ হাজার ২৫০ জনের ধারণক্ষমতা রয়েছে। ত্রাণের জন্য ২২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা ও ৪৭০ টন চাল মজুদ রয়েছে। এ ছাড়া শিশু ও গোখাদ্য পর্যাপ্ত মজুদ আছে। স্বপ্নযাত্রার ১৭টিসহ সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ে হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। মজুচৌধুরীর হাট লঞ্চ ও ফেরিঘাট থেকে নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। নদী উত্তপ্ত থাকা অবস্থায় যেন নৌযান চলাচল না করে তা তদারকি করা হবে।

আরও পড়ুন