প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি আসনে ৩১ প্রার্থীর মধ্যে ২৩ প্রার্থী তাদের নির্বাচনের জামানত হারাচ্ছে। প্রভাবশালী প্রার্থীদের মধ্যে কুয়েতে দন্ডপ্রাপ্ত সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম রয়েছেন।জেলা রির্টানিং অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে ৬ প্রার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে আওয়ামীলীগের গোলাম ফারুক পিংকু বিজয়ী হয়। এ আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পাটির রাকিব হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মো: আবদুর রহিম,তৃনমৃল বিএনপির নায়িম হাসান, ওয়ার্কার্স পার্টির এ্যাড: মাহাবুবুল করিমের টিপু জামানত বাতিল করা হচ্ছে। এই আসনে মোট ৮৯১৮০ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের গোলাম ফারুক পিংকু ৫২২৯৩ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তার ৩৫৬২৮ ভোট পায়।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আওয়ামীলীগের এ্যাড: নুর উদ্দিন নয়ন বিজয়ী হয়। এই আসনে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪১৭ ভোট এর মধ্যে নৌকা প্রার্থী পেয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ২১১ ভোট। এই আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে কুয়েতে দন্ডপ্রাপ্ত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রীসহ মোট ১২ জন প্রার্থীর জামাত হারাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ৬ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্রী আবদুর সাত্তার পালোয়ান,মাহমুদা বেগম,সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ সোলায়মান জামানত হারাচ্ছে। এই আসনে ভোট পড়েছে ৮৮৯৮০ এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ৪৬৩৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়।
লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ৬ প্রার্থী অংশ নেয় এর মধ্যে আওয়ামীলীগের আনোয়ার হোসেন বিজয়ী হয়। প্রার্থীদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ গোফরান, বাংলাদেশ ইসলামী ফন্ট এর নিয়াজ মাখদুম ফারুকী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোশারফ হোসেন, জাতীয় পাটির মাহমুদুর রহমান মাহমুদের জামানত বাতিল করা হচ্ছে। এই আসনে মোট ৬০০৪৩ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে আওয়ামীলীগের মধ্যে নৌকা প্রার্থী পেয়েছে ৪০ হাজার ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবন ১৮১৫৬ ভোট পায়।
সুজনের জেলা শাখার সভাপতি কামাল হোসেন বলেন অংশ গ্রহনমূলক নির্বাচন না হওয়ার কারণে কম ভোট পড়েছে। এ ছাড়া সমাজে গ্রহনযোগ্য নয় এমন অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অনেকের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা নেই গ্রহনযোগ্যতা নেই তারা তাদের রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে মূলত নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এ কারণে তারা জামানত হারাচ্ছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কাষ্টিং ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার ৪টি আসনে ২৩ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারাবে।