লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনের শিশুকন্যা নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন 

লক্ষ্মীপুরে ৩ দিনের শিশুকন্যাকে কোলে করে প্রেমিকের বাড়ির উঠানে দিনব্যাপী অনশন করছে সাবিনা আক্তার (২১) নামের এক তরুণী। তার একটাই দাবি ওই শিশুকন্যার পিতৃ পরিচয়।

রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারি ইউনিয়নের (৭নং ওয়ার্ড) গন্ধ্যাবপুর গ্রামের খামার বাড়ি সংলগ্ন ‘কাদের নতুন বাড়িতে’ এ অনশনের ঘটনা ঘটে। খবরটি মুহূর্তে গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন এসে ওই-বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে।

 

প্রেমিক ফারুক গন্ধ্যাবপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে ও প্রেমিকা সাবিনা আক্তার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (৮নং ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকার হায়দার আলী বাড়ীর আবুল খায়ের মেয়ে।

 

জানা গেছে, সাবিনার সঙ্গে ফারুকের ৩ বছর আগে সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফারুক ১ বছর আগে দেশে এসে সাবিনার সঙ্গে একাধিকবার দেখা করে। একসময় দুজনেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে সাবিনা অন্তঃসত্ত্বা হয়। চলতি মাসে ১২ তারিখে সাবিনা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়৷ বর্তমানে সাবিনা তার মেয়ের স্বীকৃতির জন্য ফারুকের বাড়িতে অবস্থান করছে। অভিযুক্ত ফারুক চলতি মাসের ৬ তারিখে বিদেশে পাড়ি দেয়।

 

সাবিনা আক্তার জানান, তিনি খুব নিঃস্ব। ফারুক তার সঙ্গে প্রতারণা করছে। মিথ্যা প্রেমের ফাঁদে ফেলে, তার সর্বনাশ করছে। এ বাড়িতে এসে খবর পান, ফারুক ৮ মাস আগে বিয়ে করেছে। বিষয়টি তার কাছে গোপন রাখছে।

 

সাবিনার একটাই দাবি শিশুকন্যার পিতৃ পরিচয়।

সাবিনার উপস্থিতি দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত ফারুকের বাবা আব্দুল কাদের। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

ফারুকের বড় ভাইর স্ত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক বিয়ে করছে বলে জানান। তিনি বলেন, এখন এ মহিলা আমাদের বাড়িতে এসে অযথা বাড়াবাড়ি করছে। একসময় তার সঙ্গে ফারুকের মোবাইল ফোনে সম্পর্ক ছিলো। এ বিষয় আমাদের কমবেশি জানা আছে। কিন্তু বিদেশ থেকে আসার পর আর তার সঙ্গে ফারুকের আর কোনো সম্পর্ক নেই। এজন্য আমরা ফারুককে পারিবারিকভাবে বিয়ে করিয়েছি। এখন ফারুক না আসা পর্যন্ত আমরা এর কোনো সমাধান দিতে পারব না।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা জানান, বিষয়টি জেনে আমরা ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন